
দৃকের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গোলাম কাসেম ড্যাডি লেকচার
"ডা. জাফরুল্লাহ, জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য আন্দোলন"
দৃকের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গোলাম কাসেম ড্যাডি লেকচার "ডা. জাফরুল্লাহ, জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য আন্দোলন" অনুষ্ঠিত হল আজ সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ দৃকপাঠ ভবনে।
লেকচারটি উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোঃ সায়েদুর রহমান, চেয়ারম্যান, ফার্মাকোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
আলোচনায় মোঃ সায়েদুর রহমান তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যক্তি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নানা দিক তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ফিল্ড হসপিটালে তার অবদান, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা, নারীদের ক্ষমতায়নে তার ভাবনা এবং তার সাধারণ জীবন-যাপন উঠে আসে এই লেকচারে।
জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ প্রনয়ণে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভূমিকা এবং কিভাবে সেই নীতি দেশীয় ঔষধ শিল্পকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে সে বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ সমতাভিত্তিক সমাজ তৈরির স্বপ্ন নিয়ে স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৮২ সালের স্বাস্থ্যনীতি ছিল মুনাফাকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করার হাতিয়ার । তিনি মনে করতেন, এই স্বাস্থ্যনীতি মানুষকে পুঁজির দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে পারবে। তার প্রস্তাবিত ঔষুধ নীতি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র তৈরির জন্য একটা অসাধারণ দলিল হিসেবে থাকবে।“
আলোচনায় আরও উঠে আসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কিভাবে তার জীব্বদ্দশায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য আন্দোলনে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিরীন হক ও বারিশ হাসান চৌধুরী, নগর গনস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাভার –এর কর্মীবৃন্দ, দৃকের দীর্ঘযাত্রার বন্ধু নারী ও মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, শিক্ষক ও নারী অধিকার কর্মী ফেরদৌস আজিম প্রমুখ। দৃকের এই আয়োজণে আরও অংশগ্রহণ করেন বহু আলোকচিত্রী ও সাংবাদিকবৃন্দ, দৃকের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রাক্তন ও বর্তমান সহকর্মীরা।
ছবিঃ হাবিবুল হক/দৃক



